মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : পত্রিকা ডিক্লারেশনের নবায়নকৃত কপি জমা দিতে না পারায় পত্রিকা সম্পাদকের প্রেসক্লাব সদস্যপদ স্থগিত রাখা এবং নতুন ভোটার তালিকায় তাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। বিষয়টি প্রেসক্লাব সদস্যদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নির্ধারিত মেয়াদ শেষে নতুন নির্বাচন উপলক্ষে ক্লাবের সদস্যপদ নবায়ন এবং ভোটার তালিকা প্রণয়নের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ সদস্যপদ নবায়ন ফরম পূরণ এবং চলমান মেয়াদের আইডি কার্ড অথবা নিয়োগপত্র জমাদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সদস্যদেরকে নির্ধারিত সময় ধরে দেন।
এ আলোকে মৌলভীবাজার থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘দেশপক্ষ’ সম্পাদক মৌসুফ এ চৌধুরী নির্ধারিত ফিস প্রদানসহ নবায়ন ফরম পূরণ করে যথা সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দেন। কিন্তু পত্রিকা ডিক্লারেশনের নবায়নকৃত কপি জমা না দেওয়ার অজুহাতে তার সদস্যপদ স্থগিত
এবং নতুন ভোটার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয় নি।
এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন প্রেসক্লাবের সদস্যপদ লাভের জন্য পত্রিকা সম্পাদকের নিয়োগপত্র বা আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয় না। যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত পত্রিকার ডিক্লারেশন কপির ছায়ালিপিই এখানে মূখ্য। এই ছায়ালিপি জমা দিয়েই এক দশক আগে প্রেসক্লাবের সদস্য হয়েছি। বছর কিংবা মেয়াদান্তে পত্রিকার ডিক্লারেশন নবায়ন হবার নিয়ম নাই বিধায় জমাকৃত ডিক্লারেশনের ছায়া লিপিই
সদস্য নবায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এটি যদি প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ না বুঝেন, তাহলে বলার কিছু নাই। তবুও ডিক্লারেশনের আরেকটি ছায়া লিপি জমা দিয়েছি। কিন্তু তাতে কাজ হয় নি।
বিষয়টি কৌতুহল উদ্দীপক, রহস্যজনক এবং অজুহাতে সমতুল্য। অন্যদিকে গত তিন দশক ধরে প্রেসক্লাব সদস্যভূক্ত থাকার পর সদস্যপদ স্থগিতের ধারায় পড়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক এডভোকেট আবুল কালাম জিলা। দৈনিক খবরের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে তিনি প্রেসক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করে আসছিলেন। তার নামও অন্তর্ভূক্ত করা হয় নি ভোটার তালিকায়।
তিনি বলেন-তার নিয়োগপত্র কর্তৃপক্ষের নিকট জমা আছে, যার মেয়াদ এখনও কার্যকর। তারপরও খবর পেয়ে নিয়োগপত্রের আরেকটি ছায়া লিপি জমাদানের পর বিলম্বের অজুহাতে সদস্যপদ স্থগিত রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে গত নির্বাচনে সভাপতি পদে এক ভোটে হেরে যাওয়া প্রার্থী ও প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক সরওয়ার আহমদ বলেন, প্রেসক্লাবকে কুক্ষীগত রাখার জন্য এখানে আজব খেলা চলছে। নির্বাচিত তিনজন ডিপার্টমেন্টাল সেক্রেটারীকে খোড়া অজুহাতে বহিস্কার করা হয়েছে, দু’জন সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত রাখা হয়েছে। সব প্রেসক্লাবের ভোটার তথা সদস্য বাড়ে, এখানে কমে।
তাদেরকে ভোটার তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। মূলত প্রেসক্লাবকে মিরাশ
এবং মহল বিশেষের সুবিধাভোগের প্রতীক হিসেবে গণ্য করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে।